ঢাকা, রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ৮:৫১
বাংলা বাংলা English English

ববির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফ্যান চুরির অভিযোগ


ফাইল ছবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বারোটি ফ্যান চুরি করে সেগুলো বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) আনসার সদস্যদের প্রধান মো. সোলায়মান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ভোলা রোড সংলগ্ন গেটের বুধবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টা ৭ মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

অভিযুক্ত ব্যক্তি রেজিস্ট্রার দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের ইলেকট্রনিক মালামাল রাখা হয় ডাম্পিং হাউজ ও গ্যারেজের পাশের রুমে। এসবের তত্ত্বাবধানে আছেন ওই কর্মকর্তা। আর এ সুযোগেই তিনি এসব কাজ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। শনিবার (২২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিনে এক হকারকে সাইকেলের পেছনে করে ফ্যান নিতে দেখে বাধা দেন এক আনসার সদস্য। পরে কর্মকর্তা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বলে, ওই হকারকে ভোলা রোড সংলগ্ন গেট দিয়ে বের করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিষয়টি জানাজানি হয় গত রোববার রাতে।

প্রত্যক্ষদর্শী আনসার সদস্য জানান, বন্ধের দিন সাইকেলে করে মালামাল নিতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে গেট পাশ আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমি এখানকার স্টাফ। এ সময় মালামাল কোথায় নেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন করলে হকার বলে, দোকানে নিয়ে যাই। তবে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহবশত একটা ছবি তুলে রাখি। পরে ক্যাম্পে গিয়ে আমাদের প্রধানকে বিষয়টি জানো হয়েছে।

এ বিষয়ে আনসার সদস্যদের প্রধান মো সোলায়মান বলেন, বন্ধের পরের দিন আমি ক্যাম্পাসে আসলে, এ বিষয়টি নিয়ে আমাকে অবহিত করা হয়। ইতোমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে৷

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, এসব তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন৷ এক দপ্তর, অন্য দপ্তরের ভালো চায় না বলে এমন বানোয়াট অভিযোগ আনছে আমার বিরুদ্ধে৷

এ বিষয়ে প্রকৌশল দপ্তরের উপপ্রকৌশলী মো. মুরশীদ আবেদীন বলেন, আমাদের নষ্ট যে মালামালগুলো থাকে, এটা আমরা এস্টেট অফিসারকে বুঝিয়ে দেই এবং তাদের কাস্টডিতে থাকে। এখান থেকে কোনো জিনিস মিসিং হলে বা নিয়ে গেলে তারাই ভালো জানবে। তবে শুনেছি যে ১২টি ফ্যান সরানো হয়েছে এবং আইটি দপ্তরে এর সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুপ্রভাত হালদার বলেন, মৌখিকভাবে বিষয়টি জানা গেছে এবং এটা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা অধিকতর তথ্য সংগ্রহ করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সব খবর